Thursday, January 26, 2017

বেদে_পরমেশ্বর_ভগবান_শ্রীকৃষ্ণঃ


#প্রশ্নঃশ্রীকৃষ্ণ যদি পরমেশ্বর ভগবান হয়ে থাকে তাহলে বেদে শ্রীকৃষ্ণের কথা নেই কেন???
#উত্তরঃ হ্যা, বেদে অবশ্যই শ্রীকৃষ্ণের কথা আছে, (তবে গুহ্য ভাবে) এবং বেদের জ্ঞাতব্যও যে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। সেই কথা ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ংই গীতায় বলেছেনঃ
বেদ্যং পবিত্রম্ ওঙ্কার ঋক্ সাম যজুরেব চ।। –(গীতা ৯/১৭)
আমিই জ্ঞেয় বস্তু, শোধনকারী ও ##ওঙ্কার। ##আমিই ##ঋক্, ##সাম ও ##যজুর্বেদ
বেদানাং সামবেদোহস্মি।। -(গীতা ১০/২২)
অনুবাদঃ ##সমস্ত ##বেদের মধ্যে আমি ##সামবেদ
##important_point
★সর্বস্য চাহং হৃদি সন্নিবিষ্টো
মত্ত স্মৃতির্জ্ঞানমপোহনং চ।
বেদৈশ্চ সর্বৈরহমেব বেদ্যো
বেদান্তকৃদ্ বেদবিদেব চাহম্।।
অনুবাদঃ আমি সমস্ত জীবের হৃদয়ে অবস্থিত এবং আমার থেকই স্মৃতি, জ্ঞান ও বিলোপ হয়। আমিই সমস্ত বেদের জ্ঞাতব্য এবং আমিই বেদান্তকর্তা ও বেদবিৎ।(গীতা ১৫/১৫)
"আমিই সমস্ত বেদের জ্ঞাতব্য অর্থ্যাৎ বেদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে জানা।
#তাই গোপালতাপনী উপনিষদে বলা হয়েছে যে,
যো ব্রাহ্মণং বিদধাতি পূর্বং।
যো বৈ বেদাংশ্চ গাপয়তি স্মম কৃষ্ণঃ।।
অনুবাদঃ ব্রহ্মা যিনি পূর্বকালে বৈদিক জ্ঞান প্রদান করেন, তিনি সেই জ্ঞান সৃষ্টির আদিতে শ্রীকৃষ্ণের কাছ থেকে প্রাপ্ত হন।(গো. তা. ২/২৪)
কৃষ্ণ বৈ পরম দৈবতম্।
অনুবাদঃ কৃষ্ণ হচ্ছেন পরম পুরিষোত্তম ভগবান।
#important_point
যস্মাৎ ক্ষরমতীতোহহক্ষরাদপি চোত্তমঃ।
অতোহস্মি লোকে বেদে চ প্রথিতঃ পুরুষোত্তমঃ।।
অনুবাদঃ যেহেতু আমি ক্ষরের অতীত এবং অক্ষর থেকেও উত্তম, সেই হেতু জগতে ও বেদে আমি পুরুষোত্তম নামে বিখ্যাত। (গীতা ১৫/১৮)
"বেদে আমি পুরুষোত্তম নামে বিখ্যাত অর্থাৎ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বেদে পুরুষোত্তম নামে অভিহিত হন, যা স্বয়ং তিনি নিজেই বলেছেন"।
#তাই শ্রূতি বলতেছেযে,
সচ্চিদান্দরূপায় কৃষ্ণায়াক্লিষ্টকারিণে।
নমো বেদান্তবেদ্যায় গুরবে বুদ্ধিসাক্ষিণে।।
অনুবাদঃ আমি শ্রীকৃষ্ণের প্রতি আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করছি, যাঁর অপ্রাকৃত রূপ হচ্ছে সৎ, চিৎ ও আনন্দময। আমি তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি কারণ তাঁকে জানার অর্থ সমগ্র বেদকে জানা এবং সেই কারণেই তিনি হচ্ছেন পরম গুরু। (গো. তা. ১/১)
#তাই সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা স্বয়ং ব্রহ্মসংহিতায় বলেছেনঃ
 ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ সচ্চিদানন্দবিগ্রহঃ
অনাদিরআদির্গোবিন্দঃ
সর্বকারণকারণম্।।
গোবিন্দমাদিপুরুষং তমহং ভজামি।।
অর্থ্যাৎঃ শ্রীকৃষ্ণ, যিনি গোবিন্দ
নামেও পরিচিত। তাঁর রূপ সচ্চিদানন্দময়। তিনি হচ্ছেন সবকিছুর উৎস। তাঁর কোন উৎস নেই, কেননা তিনি হচ্ছেন সমস্ত কারণের পরম কারণ। সেই আদিপুরুষ গোবিন্দকে আমি ভজনা করি। (ব্রহ্মসংহিতা ৫/১)
অদ্বৈতমচ্যুততমনাদিমনন্তরূপ
মাদ্যং পুরাণপুরুষং নবযৌবনঞ্চ।
বেদেষু দুর্লভমদুর্লভমাত্মভক্তৌ
গোবিন্দমাদিপুরুষং তমহং ভজামি।।
অনুবাদঃ #বেদেরও অগম্য, কিন্তু শুদ্ধ আত্মভক্তিরই লভ্য, সেই আদিপুরুষ গোবিন্দকে আমি ভজনা করি। তিনি অদ্বৈত, অচ্যুত, অনাদি, অনন্তরূপ, আদ্য, পুরাণ পুরুষ হয়েও নবযৌবন সমপ্ন সুন্দর পুরুষ। (ব্রহ্মসংহিতা ৫/৩৩)
[ বেদে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম আছে এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বেদে পুরুষোত্তম নামে অভিহিত হন]
জয় শ্রীকৃষ্ণ

0 comments:

Post a Comment