Monday, March 6, 2017

গোমাতা/গরু হত্যা

<3
Image may contain: 3 people<3 চাঁদকাজীকে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু বলেছিলেন, একটি গোহত্যা করলে সেই গরুর শরীর যত লোম আছে তত বছর ধরে নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে ।।
<3 এই ভয়ংকর কথাটি মহাপ্রভু কি নতুন করে বলেছেন। না কি এই কথা কোনও শাস্ত্রে আছে ?
<3 শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু সর্বদাই শাস্ত্রসম্মত কথা বলেছেন। চাঁদ কাজীকে যে কথা তিনি বলেছিলেন সেটি তার নতুন কোনও কথা ছিল না। এই কথাটি বহু পূর্বকালে শ্রীব্রহ্মা দেবরাজ ইন্দ্রকে বলেছিলেন। “যে ব্যক্তি গোমাংস ভক্ষণ এবং যে ব্যক্তি ঘাতককে গোহত্যার অনুমতি দেয়, তাদের সকলকেই সেই নিহত গরুর লোম পরিমিত বৎসরকাল নরকে নিমগ্ন থাকতে হয়।।
<3 ব্রাহ্মণের যজ্ঞে বিঘ্ন করলে যে দোষ ও যে পাপ জন্মায়, গরু বিক্রি ও গরু চুরি করলে সেই দোষ ও সেই পাপ হয়ে থাক।” কোনও প্রাচীন যুগে শ্রীব্রহ্মা যে কথা ইন্দ্রকেবলেছিলেন, সেই কথা স্বর্গরাজ ইন্দ্র রাজা দশরথকে বলেন, দশরথ তার পুত্র শ্রীরাম চন্দ্রকে ,রামচন্দ্রপ্রিয়ভ্রাতা লক্ষ্মণকে, এবং
<3 লক্ষ্মণ বনবাসী ঋষিদের কাছে এই গোহত্যা জনিত পরিণামের কথা কীর্তন করেন। ঋষিরা দেশের রাজাদের কাছে বলেন। এই ভাবে ত্রেতাযুগ হয়ে দ্বাপরযুগে এই কথা গুলি শ্রীযুধিষ্ঠির মহারাজকে গঙ্গাপুত্র শ্রীভীষ্মদেব বলেছিলেন। ত্রিকালজ্ঞ মহর্ষি শ্রীব্যাসদেব মহাভারত রচনা কালে অনুশাসন পূর্বে ৭৪ অধ্যায়ে এ সমস্ত কথা লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন।।
<3 কলিযুগে নদীয়ার শাসনকর্তা চাঁকাজীর মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাপ্রভু সবাইকে শিক্ষা দিচ্ছেন গোহত্যার পরিণাম কত ভয়ংকর। সেই কথা মহাপ্রভুর প্রিয় পার্ষদ শ্রীল কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী শ্রীচৈতন্য চরিতামৃতে উল্লেখ করেছেন মাত্র।।
<3 এতএব মহাপ্রভু নতুন কথা কিংবা নতুন ধর্ম কখনই রচনা করছেন না। যা শাস্ত্রে বহু পূর্বে উল্লিখিত রয়েছে সেই সবই প্রকাশিত করা হয়েছে। মহাপণ্ডিত মহাপ্রভুর কথার প্রামাণিকতা আছে বলেই চাঁদকাজীর মতো নাম
করা ব্যাক্তিও তাকে সমর্থন করেছিলেন ।।
বিদ্র : ভুল এুটি কৃপা করে ক্ষমার চোখে দেখবেন <3
শেয়ার করতে ভুলবেন না 

0 comments:

Post a Comment