
উত্তরঃ অর্থের স্বার্থকতা হচ্ছে অর্থকে ভগবৎসেবায় নিয়োগ করে ভগবানের কৃপা হিসাবে তার ব্যবহার করা। কিন্তু বর্তমান জগতে অর্থের অসদ্ব্যব্যবহারই নিছক নশ্বর তুচ্ছ ইন্দ্রিয়-সুখ ভোগের নিমিত্ত অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করে। ধর্মসম্পন্ন ব্যক্তি পিতা, ভ্রাতা, স্ত্রী, পুত্র, বান্ধব সবার কাছে প্রিয় হয়। কিন্তু টাকা পয়সা শূন্য হয়ে থাকলে সকল প্রীতির আত্মীয়তা বিনষ্ট হয়। ইন্দ্রিয় তর্পণের জন্য অর্থ রোজগার করলে মানুষের যে দশা হয়, তা শ্রীমদ্ভাগবতে উল্লেখ্য আছে- "চুরি, হিংসা, মিথ্যাবাক্য, দম্ভ, কাম, ক্রোধ, বিস্ময়, মত্ততা, বিভেদ, শক্রতা, অবিশ্বাস, স্ত্রীবিষয়ক বিলাসব্যসন, তাস পাশা খেলার সামগ্রী ও মাদক দ্রব্য সংগ্রহ এই পনেরো প্রকারের অনর্থ উপস্থিত হয়।" (ভাঃ ১২/২৩/১৮-১৯) আবার অনেক মূর্খ ব্যক্তি বহু কষ্টে অর্থ সঞ্চিত রেখেও ভোগ করতে পারে না।।শাস্ত্রে বলা হয়েছে, পিতা, ভ্রাতা, স্ত্রী, পুত্র প্রভৃতি অতি প্রিয় ব্যক্তিরা অর্থশূন্য ব্যক্তিকে অবজ্ঞা ও হেয় করে থাকে। শ্রীমদদ্ভাগবতে (১১/২৩/২১) উল্লেখ্য আছে-
অর্থেনাল্পীয়স্য হ্যেতে সংরব্ধা দীপ্তমন্যবঃ।
ত্যজন্ত্যাশু স্পৃধো ঘ্নতি সহসোৎসৃজ্য সৌহৃদম্।।
অর্থাৎঃ "তারা সামান্য অর্থের জন্য ক্ষুভিত ও ক্রুদ্ধ হয়ে শীঘ্রই তাদের সমন্ধ ছিন্ন করে এবং স্পর্ধাযুক্ত চিত্তে বন্ধুত্ব-আত্মীয়তা পরিত্যাগ করে ভাইয়ে ভাইয়ে বিনাশমূলক কাজে এগিয়ে আসে।"
এটাই ভগবৎ-সেবাবিমূখ ইন্দ্রিয় তর্পনকারীদের অর্থের অনর্থকতা।
#জয়_শ্রীকৃষ্ণ
ত্যজন্ত্যাশু স্পৃধো ঘ্নতি সহসোৎসৃজ্য সৌহৃদম্।।
অর্থাৎঃ "তারা সামান্য অর্থের জন্য ক্ষুভিত ও ক্রুদ্ধ হয়ে শীঘ্রই তাদের সমন্ধ ছিন্ন করে এবং স্পর্ধাযুক্ত চিত্তে বন্ধুত্ব-আত্মীয়তা পরিত্যাগ করে ভাইয়ে ভাইয়ে বিনাশমূলক কাজে এগিয়ে আসে।"
এটাই ভগবৎ-সেবাবিমূখ ইন্দ্রিয় তর্পনকারীদের অর্থের অনর্থকতা।
#জয়_শ্রীকৃষ্ণ
0 comments:
Post a Comment